১. একজন হিউম্যান রিসোর্স স্পেশালিষ্ট হিসেবে তিনি বলেছিলেন, “অবশ্যই আমি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মানুষ খুঁজি কিন্তু যেহেতু ফ্রেশারদের অভিজ্ঞতা থাকে না সেহেতু সে কাজের প্রতি মনোযোগী কিনা সেটা দেখি। সে যে বিষয়ে কাজ করতে চাচ্ছে সেটাতে সে কতটা দক্ষ। যেমনঃ সে ফিন্যান্স বা একাউন্টিং এর ছাত্র হয় তাহলে অবশ্যই তাকে এক্সেলের কাজ পারতে হবে।
২. কোন বিষয়গুলো একজন প্রার্থীকে আগ্রহী করে তোলে, কোন বিষয়গুলোতে সে নিজেকে আরও বেশি দক্ষ করে তুলতে চাচ্ছে সেটা হোক এক্সেল বা নতুন বই যা তাকে আরও দক্ষ করে তুলবে সেটা একজন চাকুরীদাতা জানতে চেষ্টা করেন ।
৩. যে কোম্পানিতে আবেদন করছেন অবশ্যই তাদের সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিবেন। তাদের বুঝাতে হবে আপনি কিভাবে তাদের কোম্পানিকে সাহায্য করতে পারবেন। আপনার মতে এই কোম্পানির দুর্বল দিক কোনগুলো যা আপনি ঠিক করতে চান। আপনাকে অবশ্যই স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে তবেই ইন্টারভিউ বোর্ডে যেতে হবে ।
৪. জেনে নিন আপনি রিস্ক নিতে কতটা ভালোবাসেন। এমন হতে পারে একটি কাজে আপনি দক্ষ নন কিন্তু সে কাজটি থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। প্রার্থীদের ইন্টারভিউতে প্রায়ই যে প্রশ্নটি করা হয় তা হলো, “এমন একটি ভুলের কথা বলেন যেখান থেকে আপনি শিক্ষা গ্রহণ করেছেন?”। অর্থাৎ আপনার নিজের উপরও স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। হতে হবে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। আর অবশ্যই যে বিষয়ে পড়াশোনা করছেন সে বিষয়ের মূল বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে।
ইন্টারভিউতে মাঝে মাঝে জিজ্ঞেস করা নিজের সম্পর্কে কিছু বলুন। চাকুরীদাতা আসলে শুনতে চান আপনি পড়াশোনার পাশাপাশি কী করেছেন ? আপনার জীবনে কী কী অর্জন আছে। সেটা যেকোনো সংগঠন পরিচালনা, বিজনেস কম্পিটিশন বা সামাজিক উদ্যোগ বা সমাজ সেবা, গান, ছবি আঁকা, ফটোগ্রাফি কিংবা পিয়ানো বাজানো ইত্যাদি হতে পারে।
আপনার আগ্রহের বিষয়গুলোই হবে আপনি কেমন ছাত্র সেটা জানার। কোন কাজগুলো আপনাকে আগ্রহী করে তুলেছে আপনার সিভি আর এই কাজগুলোই হবে আপনার পরিচয়।