সার্কেল যখন জ্ঞানের জায়গা

সারাদিনে তোমার সবচেয়ে বেশি সময় কাটে কাদের সাথে? হয়, চারপাশে যেসব ফ্রেন্ড আছে তাদের সাথে নতুবা অনলাইন এ যাদের সাথে কথা হয়। অর্থাৎ যারা তোমার ফ্রেন্ড তাদের সাথেই তোমার গেষ্ঠাগেষ্ঠি বেশি হয়।

এখন আরেকবার চিন্তা করে দেখো– তুমি যেটা করতে চাও? তুমি যে রকম হতে চাও? তোমার যে ড্রিম, সেই টাইপের ড্রিম নিয়ে তোমার চারপাশের ফ্রেন্ডরা সিরিয়াস কিনা। নাকি ওরা সারাক্ষণ মুভি মুভি মুভি নিয়ে হাউকাউ করে। ওয়েব সিরিজ এ নতুন কী আসছে, রাতের বেলার ফুটবল খেলায় কে বেশি গোল দিচ্ছে। কে কাকে রোস্ট করেছে সেগুলা নিয়ে পড়ে থাকে। যদি ওদের সাথে তোমার লাইফের গোল, তোমার মিশন, তোমার ড্রিম সিমিলার না হয়। তাহলে ওদের সাথে তোমার ফ্রিকশন হবে। এই ফ্রিকশনে তোমার সামনে এগুনোর গতি কমে যাবে। তোমার চারপাশের ফ্রেন্ডরা যেসব জিনিস নিয়ে আলোচনা করে সেটাই সারাদিন তোমার মাথার ভিতর টুথ টুথ টুথ টুথ করবে।

ধরো তুমি ভালো ডিজাইনার হতে চাও আর তোমার ফ্রেন্ডরা অলরেডি ভালো ডিজাইনার। বা তুমি প্রোগ্রামার হতে চাও আর তোমার ফ্রেন্ডরা ভালো প্রোগ্রামার। অথবা তুমি ভালো গায়ক হতে চাও আর তোমার ফ্রেন্ডরা অলরেডি স্টেজ শো করতেছে। তাহলে ওদের সাথে চলার কারণে দুই একটা স্টেজশো তুমিও মাঝে মধ্যে পেয়ে যাবে।

সিমিলার ফ্রেন্ডদের ফ্লো থেকে তোমার কিছু না কিছু একটা লাভ হবে। হেল্প লাগলে, হেল্প পাবে। সিমিলার জিনিস নিয়ে সারাদিন আলোচনা হবে। ডাইরেক্টলি বা ইন্ডাইরেক্টলি অনেক জিনিস দেখে ফেলবে, জেনে ফেলবে। এবং ওদের যেসব কানেকশন সেগুলা থেকেও তুমি বেনিফিটেড হবে।

আর যদি তুমি হতে চাও সায়েন্টিস্ট আর তোমার ফ্রেন্ডরা ফুটবল খেলোয়ার। তাদের সারা দিন খেলা নিয়ে কাটে। এমনকি তোমার ফ্রেন্ডরা যদি ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা না করে, স্কিল ডেভলপমেন্ট এর পিছনে টাইম না দেয়, নিজেদের থিংকিংটাকে পজিটিভ রাখার চেষ্টা না করে সব সময় মাস্তি আর আড্ডা নিয়ে পড়ে থাকে, তাহলে ওদের ঘর্ষণে, ভুল বর্ষণে, দূর দর্শনে তুমি ফরফর করে পিছিয়ে যাবে।

–Jhankar Mahbub

Leave a Comment