The blockchain is an incorruptible digital ledger of economic transactions that can be programmed to record not just financial transactions but virtually everything of value.”
Don & Alex Tapscott, authors Blockchain Revolution (2016)
ব্লক চেইন প্রযুক্তি ওয়েব ও ইন্টারনেট –এর মতো বা তার চেয়েও বেশি Modern ও নিরাপদ টেকনোলজি ।
এখন কথা হল কেমন ধরনের টেকনলজি ? আমি যদি এক কথায় বলি ব্লকচেইন কি ? তবে বলতে হয় র্থাড পার্টি এভয়েড করে র্অথাৎ কোনো মিডল ম্যান ছাড়াই সরাসরি প্রডিউসার এবং কনজিউমারের আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করার এক অভিনব পদ্ধতি যা গতানুগতিক ধারার ইনটারনেট বেইজড সিস্টেম না । এবং এর বিশেষত্ব হল এখানে পে–মেন্ট ও ডিজিটাল কারেন্সির মাধ্যমে সম্পন্ন হবে কোনো র্থাড পার্টির ঘরে টাকা যাবে না!
কয়েকটি উদাহরণ দেই ,
১) আমাদের দেশে একজন গায়ক গান গাওয়ার পর তা পাবলিশ করার দায়িত্ব নেয় কোনো না কোনো ক্যাসেট কোম্পানি বা এখন কোনো মোবাইল অপারেটর ! তাই না ? এখানে কিন্তু গায়ক তার Intellectual Property হিসেবে অর্থ এককালিন পাবে এবং মুল বিজনেস হিসেবে বেশিরভাগ অর্থের ভাগিদার হয় যে পাবলিশ করছে সেই অপারেটর বা ডিজিটাল মিডলম্যান ।
২) আমাদের দেশে বা অন্যান্য দেশে ই–ক্যাশ অত্যন্ত জনপ্রিয় ডিজিটাল পদ্ধতি । তাই না? আপনি কি জানেন ? ডেবিট র্কাড, বা যে কোনো ইলেকট্রনিক্স র্কাড দিয়ে পেমেন্টের জন্য র্থাড র্পাটি হিসেবে ব্যাংকের নিকট আমাদের আস্থা রাখতে হয় ? আর এই র্থাড র্পাটির আস্থার ফাক ফোকর দিয়েই বিভিন্ন সময়ে ডিজিটাল চোর রা প্রায়ই টাকা হাতিয়ে নেয় যেখানে আমাদের কিছুই করার থাকেনা ।
৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের নজির বিহিন ঘটনা রির্জাভ চুরি !! এটা ত সবারই জানা কিভাবে সুইফট কোড ভেঙে রিজার্ভ লুট হল !!
২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার সময় পৃথিবীর সব বড় বড় ব্যাংকগুলো প্রায় পথে বসেছিল। অর্থাৎ সরকার বা থার্ড পার্টির নিরাপত্তা খুব কাজে আসছিল না। থার্ড পার্টি বা সরকারের উপর যখন বিশ্বাস করা কঠিন, তখন জনমনে হতাশা নেমে আসে! আর আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের রির্জাভলুটের ঘটনা ত একেবারেই তরতাজা । প্রতিনিয়ত যখন ফিনান্সিয়াল সিকিউরিটি হুমকির মুখে , তখনই Satoshi Nakamoto ২০০৮ সালের অক্টোবার মাসে “Bitcoin: A Peer-to-Peer Electronic Cash System” নামক এক প্রস্তাবনা অনলাইনে প্রকাশ করে। যেখানে প্রথম Bitcoin সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। প্রস্তাবনার মুলকথা হিসেবে বলা হয়, একটি পিয়ার–টু–পিয়ার (peer-to-peer) ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা পরিশোধের ব্যবস্থা প্রয়োজন, যেটির মাধ্যমে একজন অন্যজনকে কোন তৃতীয় পক্ষ বা প্রতিষ্ঠানের কাছে না গিয়েই লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে। মানে হল আমিই প্রডিউসার আমিই মিডল ম্যান আরো ক্লিয়ার করে বললে আমি যদি কোনো পন্য উৎপাদন করি তবে তা ভোক্ত সরাসরি আমার কাছ থেকে পন্য কিনতে পারবে সেই ডিজিটাল কারেন্সি দিয়ে এখানে আমার সাথে শুধুমাত্র কনজিউমারের সম্পর্ক থাকবে এর মাঝে কোনো র্থাড পাটি আসবে না ,, কোনো কন্টেন্ট কেউ তৈরী করল ধরে নিলাম গান তৈরী করল সেক্ষেত্রে শ্রোতা সরাসরি গায়ক থেকেই গান শুনে নিতে পারবে এবং পে করতে পারবে , এবং কোনো কপি বা অনুলিপি করতে পারবে না ।
প্রস্তাবনা প্রকাশের পর থেকে Satoshi Nakamoto বিটকয়েন ‘মাইনিং’ এর জন্য প্রথম সফটওয়্যার তৈরি করেন। ‘মাইনিং’ হচ্ছে যে পদ্ধতিতে বিটকয়েন তৈরি করা হয়। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে Satoshi প্রথম Bitcoin মুদ্রা রিলিজ করে।
এরপরই আরো কিছু প্রযুক্তি বিদ ওপেনলি ব্লকচেইন সিস্টেম start করে এবং কতৃত্ব নিজের কাছে রেখে দেয় । ক্রিপ্টোগ্রাফিক কারেন্সি বিটকয়েন প্রথম তখনই চালু হয় তাদের হাত ধরে , এছাড়া সে সময় দেশের কোনো সীমা রেখা না মেনেই লেনদেন চলতে থাকে ওয়ালেট থেকে ওয়ালেটে ।
পিয়ার–টু–পিয়ার নেটওয়ার্ক হওয়ার কারণে বিটকয়েনের ট্রানজিকশন বা লেনদেন সেবা দাতা ও গ্রহিতার ‘ওয়ালেট’ থেকে ‘ওয়ালেটে’ সম্পন্ন হয়। যারা লেনদেন করবেন তাদের Bitcoin (Digital Currancy ) নিজের wallet জমা থাকতে হবে । এটা অনলাইন বা অফলাইন সিস্টেমেই হতে পারে । একজন বিটকয়েন ব্যবহারকারীকে দুটি ‘Key “ ব্যবহার করতে হয়। একটি (Public Key), এটি সবার জন্য Open অন্যটি Private/Personal key, এটি সর্বদা গোপন থাকে এবং লেনদেনের Security and Safety র জন্য ব্যবহৃত হয়। সকল ট্রানজিকশন একটি উম্মুক্ত ভারচুয়াল লেজারে (পাবলিক লেজার) এ রেকর্ড করা থাকে, যাকে ‘ব্লক চেইন’ (Block chain) বলে। এক্ষেত্রে সকল তথ্য জানতে ব্যবহার কারী ‘পাবলিক কি’ ব্যবহার করেন এবং একই লেনদেন একই ব্যবহারকারীর মাধ্যমে পুনরাবৃত্তি করা যায়না। ব্লকচেইনে সর্বপ্রথম লেনদেন হিসাব থেকে পরবর্তি সব হিসাব সংরক্ষিত থাকে এবং নিয়মিতভাবে আপডেট হয়। আর একটা বিষয় এখানে কিন্তু বিট কয়েন মাত্র একটা কারেন্সি যা ই–ক্যাশের একটা আধুনিক ফরম্যাট । মুল বিষয় হল “সিস্টেম “ যার মাধ্যমে Bitcoin সাধারণভাবে ব্যবহার হবে আর পদ্ধতিটাই হলো Blockchain !!!
D M Shafiq Taaslim
Head of Blog and Creative writing.
PAcademia